পরীক্ষা পদ্ধতি এবং একাডেমিক সংস্কার চেয়ে ৭ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
রোববার সকাল দশটায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন তারা ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘কি চাই কি চাই, মিড চাই মিড চাই’, ‘লিখবো না লিখবো না, ল্যাব খাতা লিখবো না’, ‘কৃষিবিদ হতে আসছি, ডিপ্রেশনের রোগী নয়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় উপাচার্যের কাছে ৭ দফা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
দফাগুলো হলো-
১. এক্সাম পদ্ধতির সংস্কার করে, দুই সিটি-কুইজের পরিবর্তে মিড (এক সিটি-কুইজ: ৩০ মার্ক) সিস্টেম পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে, একাডেমিক শিক্ষাবর্ষের ভেতরে চলমান অনার্স ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার শেষ করতে হবে, পরীক্ষার কোয়েশ্চেন পেপারে অলটারনেটিভ অপশন থাকতে হবে (যেমন ১২ টা প্রশ্নের ভিতর যেকোনো ১০টার উত্তর), মিডের (সিটি-কুইজ) সিলেবাস ফাইনালে থাকা যাবে না, মিড (সিটি-কুইজ) পরীক্ষার সময় Break Before Exam থাকতে হবে।
২. ইপ্রুভমেন্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে ও কোর্স কারিকুলাম মোডিফিকেশন করে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে;
৩. প্রাক্টিক্যাল খাতা লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে (প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে গ্রুপভিত্তিক ফিল্ড ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশন, এসাইনমেন্ট দেওয়া যেতে পারে);
৪. অনার্সের সকল শিক্ষার্থীদের ইন্সটিটিউশনাল মেইল (edu mail) প্রদান করতে হবে; ৫. ফাইনাল এক্সাম সম্পন্ন হওয়ার ১ মাসের ভিতর রেজাল্ট পাবলিশ করতে হবে, ফাইনাল এক্সাম শুরু হওয়ার পূর্বেই মিড ও প্রাক্টিক্যাল এক্সাম আর নম্বর প্রকাশ করতে হবে;
৬. ক্লাসরুম ফ্যাসিলিটিজ (এসি, সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, ফ্যান) বৃদ্ধি করতে হবে;
৭. স্ব-স্ব ফ্যাকাল্টির দাবিগুলো অতিসত্বর মেনে নিতে হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ সেখানে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিস আদেশ আসবে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।