চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৪টি হলের সবটিতে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন পত্রে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। সবাইকে যোগদানের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- শাহজালাল হলে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান, শাহ আমানত হলে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, সোহরাওয়ার্দী হলে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান, এএফ রহমান হলে অর্থনীতি বিভাগের ড. মোহাম্মদ তাছলিম উদ্দীন, আলাওল হলে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দীক, শহীদ আব্দুর রব হলে পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী, অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হলে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের এজিএম নিয়াজ উদ্দিন ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ শামসুল হুদা।
ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে প্রীতিলতা হলে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে আইন বিভাগের শারমিন আফরোজ, শামসুন নাহার হলে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সোনিয়া হক ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম রফিকুল ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট চবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের অব্যাহতি চান। ফলে গত এক মাসের বেশি সময় উপাচার্যহীন ছিল দেশের অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। একই সময়ে পদত্যাগ করে প্রক্টরিয়াল বডি, ১৪ হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আওয়ামী ঘরানার শিক্ষকরা। প্রশাসনিক এ অচলাবস্থায় শুরু হয়নি ক্লাস-পরীক্ষা। ফলে অনিশ্চয়তা ও সেশন জটের শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি উপাচার্য, প্রভোস্ট, ডিন ও প্রক্টর নিয়োগের পর অচলাবস্থা দ্রুত কাটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।