দেশকে অস্থিতিশীল করে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার দোসর এবং সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে রোববার বিকালে যশোরে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে এ সমাবেশ হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়ে গেলেও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে। ঘাপটি মেরে থাকাদের কাছে অনেক কালোটাকা। শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। টাকা পাচার হয়েছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা দিয়ে কিছু উন্নয়ন করলেও তার মধ্যে থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লুট করেছে। সেই কালোটাকা ছড়িয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দোসররা।
দাকোপে মন্দিরে উড়ো চিঠি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি ভাঙছেন শেখ হাসিনা। ভারতে বসে ভারতকে উসকে দিচ্ছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে জল্লাদখানা তৈরি করেছেন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ ছিল শেখ হাসিনার জল্লাদখানা, কসাইখানা। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার মনমতো ব্যক্তিকে বিচারপতি বানিয়ে ইচ্ছামতো সাজা দেওয়া হয়েছে। এ কসাইখানা ও পুলিশ প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা রয়েছে। তারা এখনো কাজ করছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভোটবিহীন নির্বাচনের কোনো জনপ্রতিনিধিকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরদের এখনো ক্ষমতায় রেখেছেন কেন? এরাই তো বড় ফ্যাসিবাদের দোসর। এরাই এলাকার সন্ত্রাসী গুন্ডাপান্ডা। এই গুন্ডাপান্ডা দিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন শেখ হাসিনা।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সল।